মেয়র বলেন, বর্তমানে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ একসাথে তিনটি ভাইরাল রোগ মোকাবিলা করা—অমিক্রন এক্সবিবি, ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া। এর মধ্যে ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া সিজনাল হলেও, প্রস্তুতি ও সচেতনতা ছাড়া ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে।
তিনি জানান, ডেঙ্গু প্রতিরোধে নিয়মিত মশক নিধন কার্যক্রম চলছে এবং কর্মীদের মনিটরিং জোরদার করা হয়েছে। একইসাথে জনগণের সহযোগিতা চেয়ে মেয়র বলেন, সবাইকে পরিচ্ছন্নতা রক্ষায় ভূমিকা রাখতে হবে।
দীর্ঘদিন একই ধরনের ওষুধ ব্যবহারে মশা রেজিস্টেন্ট হয়ে ওঠার অভিযোগের বিষয়ে মেয়র বলেন, ইউকে ও শিকাগোর গবেষণালব্ধ নতুন মশা নিধন ওষুধ পরীক্ষামূলকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে এবং ইতিবাচক ফল পাওয়া গেছে।
চট্টগ্রামের ৪১টি ওয়ার্ডে কমিশনার না থাকলেও কার্যক্রম থেমে নেই বলে জানান মেয়র। স্বাস্থ্যকর্মী, পরিচ্ছন্নতা কর্মী, সুপারভাইজারসহ সকলে ওয়ার্ডে কাজ করছেন। স্থানীয় নেতৃবৃন্দ ও মহল্লা সরদারদেরও সম্পৃক্ত করার চেষ্টা চলছে।
চমেক হাসপাতালে বর্তমানে ৯ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি থাকলেও সবাই সুস্থ আছেন বলে তিনি জানান।
মেয়র জনসচেতনতার গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, নাগরিকদের ঘরবাড়ি ও আশপাশ পরিষ্কার রাখা, জমা পানি দূর করা, মশারি ব্যবহার, ফুলহাতা জামা-প্যান্ট পরিধান ও ধর্মীয় স্থানেও সতর্কতা অবলম্বনের আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, শুধু সিটি কর্পোরেশনের উপর দায় চাপিয়ে না দিয়ে প্রতিটি নাগরিককে নিজ নিজ জায়গা পরিষ্কার রাখতে হবে—এতেই রক্ষা পাবে শহর ও জনগণ।